নিজস্ব প্রতিবেদন || চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আলোচিত অপারেশন ঈগল হান্ট মামলায় গ্রেফতার হওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হয়েছে।
দুই দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতার কৃতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ এবং যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। এর আগে ৩০ জুলাই তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামে পুলিশের অভিযান চলাকালে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয় এবং ঘিরে ফেলা হয় একটি বাড়ি। ওই সময় দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে আবুল কালাম আজাদের পরিবার ঘুমিয়ে ছিলো এবং তাদের ওপর গুম ও খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে।
২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট মিজানুর রহমানকে তার নিজ বাড়ি থেকে এবং একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাজশাহীর সাহেব বাজারের এসএস প্লাজার ছাত্রাবাস থেকে রাত ১০টার দিকে ছাত্রনেতা রেজাউল করিমকে গুম করা হয়। এরপর তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাদের বাবা আইনাল হক শিবগঞ্জ থানায় অপহরণ, গুম ও খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
নিখোঁজ ছাত্রনেতা রেজাউল করিমের বাবা আইনাল হক বলেন, ‘অপহরণ, গুম ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুস সালাম, আবুল কালাম আজাদ, ইশতিয়াক আহমেদসহ সব আসামির ফাঁসির ব্যবস্থা চাই। যেন ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধে শিকার না হয়।’
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান জানান, আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। পরে রিমান্ড শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।