প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২৫ , ১:০৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধিঃআন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (১ মে) উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, রাজশাহী মহানগরী শাখার উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর বিআরইএল অফিসে আয়োজিত এ সভায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্মানিত সাংবাদিকরা এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় ‘শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়ন অনিবার্য’ এই মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সভায় শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা এবং উত্তরণের পথ নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ১ মে শ্রমিক দিবস বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের সংগ্রাম, অধিকার এবং মর্যাদার প্রতীক। ১৮৮৬ সালের শিকাগো শহরের হে মার্কেট আন্দোলনের মাধ্যমে যে ন্যায্য শ্রমঘণ্টা ও ন্যায্য মজুরির দাবি বিশ্বমঞ্চে আলোড়ন তুলেছিল, তার চেতনা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। অথচ দুঃখজনকভাবে, আজও শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের বাস্তবায়ন অনেক ক্ষেত্রে অধরা থেকে গেছে। দেশে-বিদেশে নানা প্রলোভন ও শোষণের মুখে শ্রমিকেরা বারবার নিপীড়িত হচ্ছেন।
বিশেষ করে গার্মেন্টস, নির্মাণ, কৃষি, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিকরা দীর্ঘসময় কাজ করেও তাদের ন্যায্য অধিকার ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত শ্রমিকদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের উদ্যোগ অনেক ক্ষেত্রেই চোখে পড়ে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, রাজশাহী মহানগরী শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ , সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুজ্জামান হাসান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর সালাম, অর্থ সম্পাদক আসাদুজ্জামান।
বক্তারা উল্লেখ করেন, বর্তমান শ্রমিক সংকটের সমাধান ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মধ্যেই নিহিত। কারণ ইসলাম শুধু মজুরি নিশ্চিত করে না, বরং শ্রমিকের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পথ নির্দেশ করে।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ সম্মানিত সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন তারা শ্রমিকদের সমস্যা ও তাদের অধিকার নিয়ে গণমাধ্যমে আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্ট, তাদের সংগ্রাম, এবং সম্ভাবনার গল্পগুলো সমাজের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তনের পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।
সভা শেষে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, “শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা শুধু একটি নৈতিক দায়িত্ব নয়, বরং একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত। আমরা ইসলামি শ্রমনীতির আলোকে এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাব।